কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধসহ শিক্ষার্থীদের ১১ দফা মেনে নিল প্রশাসন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসার পর তাঁদের সব দাবি মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাম্মাদুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সভা চলাকালে শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিদাওয়াগুলো লিখিত আকারে অধ্যাপক খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে পেশ করেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনাগুলো তুলে ধরেন। এ সময় সব অন্যায়-অবিচারের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা হবে বলে জানান উপস্থিত শিক্ষকেরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একমত। কাল সকাল ১০টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা যদি কোথাও কোনো অন্যায়ের শিকার হয়, তাহলে তারা সরাসরি আমার কাছে চলে আসতে পারবে। আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব, যেকোনো বিষয় নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলে তারা যেন সরাসরি আমার কাছে চলে আসে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, আসন–বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও গেস্টরুম বাতিল, হল ও অনুষদভিত্তিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ মোট ১১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবন, ছাত্রী হল-সংলগ্ন সড়ক, কে আর মার্কেট ও বিভিন্ন অনুষদের করিডর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল পাঁচটায় তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।