বাবা ও খালুর পর পদ্মায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ আরিফ আহমেদের (১৬) লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে দীঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় নদীতে ভাসতে থাকা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আরিফ, তার বাবা রিয়াদ আহমেদ (৪৫) ও খালু জুয়েল রানা (৪০) গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। রাত পৌনে ৯টার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ ছিল আরিফ। রিয়াদ আহমেদ বাংলাদেশ রেলওয়েতে ও জুয়েল রানা একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিয়াদ আহমেদ ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেশনাল গ্রামে চাচা ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গতকাল বিকেলে তাঁরা তিনজনসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে ঘুরতে বের হন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া পদ্মার চরে আসেন। সেখানে ট্রলারের অধিকাংশ লোক গোসল করতে নামেন।
গোসলের একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে রিয়াদ আহমেদ, জুয়েল রানা, আরিফসহ অনেকেই নদীর গভীরে চলে যান। সে সময় নদীতে স্রোত ছিল। ওই তিনজন সাঁতার জানতেন না। অন্যরা সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও রিয়াদ আহমেদ, তাঁর ছেলে আরিফ ও জুয়েল রানা স্রোতে ভেসে যান। গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে নদীতে তল্লাশি চালিয়ে রিয়াদ আহমেদ ও জুয়েল রানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চর আবদুল্লাহ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাসনাত আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলে। সে সময় নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুজনের লাশ পেয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ সকাল থেকে আবারও উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশেই আরিফের লাশ ভেসে ওঠে। লাশটি উদ্ধার করে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।