ছবি তুলতে গিয়ে ঝরনার পানিতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বিলাসী ঝরনার নিচে থাকা কূপে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঝরনার পানি পড়ে ওই কূপের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত তরুণের নাম এ কে এম নাইমুল হাসান (২০)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী নাথপাড়া সাহানা ভবনের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নাইমুল হাসানের লাশ উদ্ধার করেন। পরে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ২৮ আগস্ট উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের লবণাক্ষ হ্রদে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়।
নাইমুলের সঙ্গে থাকা সহপাঠীরা বলেন, তাঁরা তিনজন এ ঝরনা দেখতে এসেছিলেন। একপর্যায়ে ছবি তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নাইমুল হাসান। ঝরনার পানি যেখানে পড়ে, সেই কূপ কত গভীর, তা তাঁর জানা ছিল না। এরপর পা পিছলে কূপের পানিতে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়।
নাইমুলের বন্ধু ওমর বিন জুনায়েদ বলেন, তাঁরা ছবি তুলছিলেন। ছবি তোলার সময় পোজ দিতে গিয়ে নাইমুল পড়ে পানিতে তলিয়ে যান। পরে তাঁরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। নাইমুল সাঁতার জানতেন না।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে ওই পর্যটক কূপের পানিতে ডুবে যান। খবর পেয়ে তাঁরা বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেন। পরে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফিরোজ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন থেকে অন্তত আধা ঘণ্টা পাহাড়ি পথ হেঁটে গেলে বিলাসী ঝরনাটি দেখা যায়। এ পর্যন্ত পাহাড়ি পথ হেঁটে গেলে মানুষ এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়েন। এর ওপর যাঁরা সাঁতার জানেন না, তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ঝরনার পানি পড়ে তৈরি হওয়া কূপটির গভীরতা ১২ থেকে ১৫ ফুট।