মায়ের লাশ পড়ে ছিল বিছানায়, পাশেই কাঁদছিল মেয়ে
ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝুলানো ছিল। ভেতরে কাঁদছিল ছয় বছর বয়সী শিশু। পরে তালা ভেঙে ঘরের ঢোকে দেখা যায়, শিশুটির পাশেই পড়ে আছে তাঁর মায়ের লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকায়। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক। পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী।
আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত কল্পনা রানী বর্মণ (২৬) সুনামগঞ্জের তাহেরপুর থানার ইন্দ্রপুর গ্রামের দিনেশ চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তাঁর স্বামীর নাম অঞ্জু বর্মণ।
নিহত নারীর স্বজনের বরাতে পুলিশ জানায়, সুনামগঞ্জের তাহেরপুর থানার ইন্দ্রপুর গ্রামের দিনেশ চন্দ্র বর্মণের মেয়ে কল্পনা রানী বর্মণ স্বামীকে নিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি কোনাবাড়ী আমবাগে তাঁর বাবার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। অনেক দিন ধরেই স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। মেয়ে ও জামাতাকে বাসায় রেখে আজ সকাল সাতটার দিকে দিনেশ কাজে বের হন। এ সময় কল্পনা রানীর ছয় বছরের মেয়ে ঘুমাচ্ছিল।
পুলিশ আরও জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দিনেশ চন্দ্র বাসায় ফিরে দেখেন ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগানো, ভেতরে কল্পনা রানীর শিশু মেয়ে কান্নাকাটি করছে। পরে আশপাশের লোকজনকে নিয়ে দিনেশ শাবল দিয়ে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান, বিছানায় কল্পনার লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা–পুলিশ নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক শাখাওয়াত ইমতিয়াজ বলেন, কল্পনার আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামী মারা যাওয়ার পর ১০ মাস আগে অঞ্জু বর্মণের সঙ্গে বিয়ে হয়। আগের সংসারের ছয় বছরের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর স্বামী তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কল্পনার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।