দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত সেতুতে মরছে যশোরের নদ-নদী

ভৈরব নদ দখল করে গড় উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। নদ–নদী পরিণত হয়েছে সরু খালে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শহরের দড়াটানা এলাকায়ছবি: মাসুদ আলম।

যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এখানে ভৈরব নদের ওপর রয়েছে দড়াটানা সেতু। সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে দেখা যায়, কচুরিপানায় ভরা যেন সরু খাল বয়ে গেছে। দৃষ্টিসীমার মধ্যে পড়ে আরও দুটি সেতু। সেতুর দুই দিকে প্লাবনভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। এসব স্থাপনার বর্জ্য পড়ে স্রোত ও প্রাণহীন ভৈরব নদে। নদের পানি কুচকুচে কালো আর দুর্গন্ধময়।

হিন্দু দেবতা শিব রুদ্রমূর্তি ধারণ করলে তাঁকে ভৈরব বলে ডাকা হয়। তবে ভৈরবের এখন আর রুদ্রমূর্তি নেই। দখল–দূষণ আর অপরিকল্পিত সেতুর কারণে মৃতপ্রায় ভৈরব কোনোরকমে বয়ে চলেছে।

যশোরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ, ভৈরব, হরিহর, কোদলা, ইছামতী, হাকর, বেতনা বা বেত্রবতী অথবা বেত্রাবতী, মুক্তেশ্বরী, কাজলা, চিত্রা, শ্রী, টেকা, হরি, ভদ্রা ও আতাই নদ–নদী। ভয়াবহ দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত নির্মিত সেতুতে এখন নদ-নদীগুলো অস্তিত্বসংকটে।

মৃতপ্রায় এসব নদ-নদীকে বাঁচাতে নানা সময়ে খননসহ নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। কিন্তু সেসব খুব একটা কাজে আসেনি, উল্টো পরিকল্পনায় সমন্বয়হীনতায় নদ-নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য সেতু। আরও সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব সেতুর অপরিকল্পিত দৈর্ঘ্য সংকুচিত করেছে নদ-নদীকে।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উদ্যোগ নেই
দখলের কারণে কয়েকটি নদী ভরাট হয়েছে, নাব্যতা হারিয়েছে। পাশাপাশি নদ-নদী ব্যাপকভাবে দূষণের শিকার। দূষণে নদীর পানি ও নদীনির্ভর প্রাণবৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। দখল ও দূষণে কয়েকটি নদী মৃতপ্রায়। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ওয়েবসাইটে যশোর জেলার নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের আংশিক তালিকাটি প্রকাশ করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এই তালিকায় জেলার ৬৭৩ জন দখলদারের নাম ছিল। ২০২২ সালে সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে স্থাপনার তালিকা সরিয়ে নেওয়া হয়। নদী রক্ষায় তালিকা অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো কার্যকর উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে তালিকায় যশোর সদর উপজেলায় ভৈরব দখল করে নির্মাণ করা রয়েছে দলীয় কার্যালয়, বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র (ক্লিনিক), মার্কেট, পুকুর, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিজিবি ক্যাম্প ও বাসাবাড়ি। যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা সেতু থেকে কাঠের পুল পর্যন্ত ভৈরব নদের ৮০০ মিটারের দুই তীরে অন্তত ২০টি বহুতল ভবনসহ ৫০ জনের বেশি প্রভাবশালী দখলদার রয়েছেন। নদের প্লাবনভূমিতে এসব স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। নদের এই অংশের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করেনি জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। অথচ নদের ওই অংশ বাদ রেখে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে পশ্চিমাংশের ৮৪টি স্থাপনা ও পূর্বাংশের সাড়ে ৩ কিলোমিটারে ৫৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। পরে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পানি আইনে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। নদের তীরে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনার মেডিকেল বর্জ্য ও ভবনের শৌচাগারের মানববর্জ্য সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে ভৈরব নদে ফেলা হচ্ছে। এতে নদের পানি কালো কুচকুচে হয়ে পড়েছে। পানিও দুর্গন্ধযুক্ত।

মৃতপ্রায় এসব নদ-নদীকে বাঁচাতে নানা সময়ে খননসহ নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। কিন্তু সেসব খুব একটা কাজে আসেনি, উল্টো পরিকল্পনায় সমন্বয়হীনতায় নদ-নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য সেতু। আরও সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব সেতুর অপরিকল্পিত দৈর্ঘ্য সংকুচিত করেছে নদ-নদীকে।

বাঘারপাড়া উপজেলায় চিত্রা নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দলীয় কার্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, পুকুর, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি। আংশিক তালিকায় এই নদীর ওপর ৪১টি অবৈধ দখলদার রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পরে নদীর অবৈধ দখলদারদের যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়, তাতে ১২৬ জন দখলদারের নাম উল্লেখ করা হয়।

আংশিক তালিকায় মনিরামপুর উপজেলার হরিহর, মুক্তেশ্বরী, শ্রী ও হরি নদ–নদী দখল করেছেন ১৬২ জন; ঝিকরগাছা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের দুই পাশ দখল করে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন ৩০ জন; চৌগাছা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদ দখল করেছেন ৮০ জন এবং শার্শা উপজেলার বেতনা নদী ও হাকর নদ দখল করেছেন ২২৪ জন। আর অভয়নগর উপজেলায় ভৈরব নদ দখলের তালিকায় ৪৯ জনের নাম রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হিসাব অনুযায়ী, যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভৈরব নদের তীরে অবৈধ স্থাপনা ছিল ৮৫টি। এর মধ্যে যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতায় ২০২৪ সালের মে মাসে দুই ধাপে ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। অবশিষ্ট ৩৬টি স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে উচ্ছেদ অভিযান কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় নদের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বাড়ছে। থেমে নেই দূষণ। দুটি ট্যানারি ও বিভিন্ন কারখানার অপরিশোধিত রাসায়নিক বর্জ্য ভৈরব নদের পানি দূষিত করছে।

খননে প্রবাহ ফেরেনি ভৈরবে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার মুরটি গ্রামে পদ্মার শাখা জলঙ্গিতে ভৈরবের জন্ম। এরপর ভৈরব মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা, ঝিনাইদহ জেলার কোর্টচাঁদপুর, যশোর জেলার তাহেরপুর, আফ্রা ও অভয়নগর এবং খুলনা জেলার ফুলতলা, দিঘলিয়া ও দৌলতপুর হয়ে খুলনা নগরীর কাস্টম ঘাট এলাকায় ভৈরব রূপসা নদীতে গিয়ে মিশেছে। চৌগাছার তাহেরপুর কপোতাক্ষের উৎসমুখ থেকে খুলনার রূপসা-ভৈরবের মিলনস্থল পর্যন্ত ভৈরবের মোট দৈর্ঘ্য ১৩৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে রূপসা-ভৈরবের সঙ্গমস্থল থেকে যশোরের বসুন্দিয়া পর্যন্ত ভৈরবের ৪১ কিলোমিটার প্রবহমান। আর বসুন্দিয়া থেকে সদর উপজেলার রূপদিয়া পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার ক্ষীণধারা প্রবহমান। সেখান থেকে চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুরের কপোতাক্ষের উৎসমুখ পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার প্রবাহহীন। ২৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে যশোরের চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর থেকে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পর্যন্ত ৯২ কিলোমিটার নদ পুনঃখনন হয়েছে। এ ছাড়া বসুন্দিয়া থেকে আফ্রা ঘাট পর্যন্ত চার কিলোমিটার নদ ড্রেজিং করা হয়েছে, কিন্তু প্রবাহ ফেরেনি ভৈরবের।

খনন চলছে কপোতাক্ষের

কপোতাক্ষে প্রাণ ফেরাতে ২০১১ সালে নদ খননের প্রকল্প হাতে নেয় পাউবো। ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ শেষ হয় ২০১৭ সালে। যদিও খুব একটা সুফল পাওয়া যায়নি তখন।
২০২০ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে খননকাজ শুরু করে পাউবো। এতে ব্যয় হচ্ছে ৫৩১ কোটি টাকা। দুই প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৮১৭ কোটি টাকা। নতুন প্রকল্পের কাজ ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত ৭৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৯ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে।

শুকিয়ে গেছে টেকা নদী। দখল হয়ে গেছে নদীর জায়গা। গত বুধবার যশোরের অভয়নগর উপজেলার চোমরডাঙ্গা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নদ-নদীতে অপরিকল্পিত সেতু
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কপোতাক্ষ নদে এখন পর্যন্ত ছোট-বড় ২১টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি সেতুর উচ্চতাই কম। অর্থাৎ নৌযান চলাচলের মতো উচ্চতা রেখে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়নি। একটি সেতু শুধু যথেষ্ট উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে। তবে সেটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে নদটিকে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে।
ভৈরব নদের ওপর নির্মিত ৫২টি অপরিকল্পিত সেতু রয়েছে। সেতুগুলোর দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৪ থেকে ১২০ ফুটের মধ্যে। একটি সেতুর দৈর্ঘ্য ১৭৭ দশমিক ১১২ ফুট। অথচ নদের প্রশস্ততা ১৫০ থেকে ২৫০ ফুট। নদের দুই পাড় মাটি দিয়ে ভরাট করে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। খননে অনিয়ম এবং এসব সেতু বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মানদণ্ড মেনে উঁচু করে পুনর্নির্মাণ করায় ভৈরবের ওই অংশে প্রবাহ ফেরেনি।

সম্প্রতি ভৈরব, চিত্রা, হরিহর, মুক্তেশ্বরী, টেকা ও কপোতাক্ষের ওপর ১৪টি কম উচ্চতার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যে ১২টি পুরোনো সেতু ভেঙে সেই জায়গায় নতুন করে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এ ছাড়া মুক্তেশ্বরী নদীর ওপর দুটি সেতু নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়। হাইকোর্টের একটি আদেশে ভৈরব নদের চারটি এবং টেকা নদীর ওপর একটি সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। আপত্তি উঠায় কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে কম উচ্চতার একটি সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে হরিহর নদের একটি সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। সব কটি সেতুর উচ্চতা কম।

আন্দোলনকারীরা যা বলছেন
ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান নদীপ্রবাহ ভৈরব। ব্রিটিশ আমলেই ভৈরবকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর কেবল নদের দুই পাড়ের দখলদারত্ব বেড়েছে। দখলের সঙ্গে দুর্নীতি যুক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে নদকে দূষিত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষায় সরকার নদীতট আইন করেছে। সেই নদীতট আইন সরকার কার্যকর করে না। নদীর সম্পদ রক্ষায় সরকারের দায়িত্বহীনতা নদীর দখলদারদের সুযোগ করে দিয়েছে।

যশোরের কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস বলেন, কপোতাক্ষ নদের দুই পাশে গভীর করে কাটা হলেও মাঝখানে ঠিকমতো কাটা হচ্ছে না। নদ খননের মাটি নদের গর্ভে ফেলা হচ্ছে। যেভাবে নদ খনন করা হচ্ছে, তাতে প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না। অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণের সময়ে কেউই নৌযান চলাচলের বিষয়ে ভাবেননি। এসব সেতু কপোতাক্ষ ভরাটের প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করেছে।

খননের পরও প্রবাহ ফেরেনি হরি নদে। বুধবার যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কপালিয়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

কর্মকর্তাদের ভাষ্য
পাউবো যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, ভদ্রা নদীর ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার, হরি নদের ১৪ দশমিক ২ কিলোমিটার এবং কপোতাক্ষ নদের ৭৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৯ কিলোমিটারের খননকাজ শেষ হয়েছে। ভৈরবের ২৫০ কিলোমিটার খননকাজ চলছে। এ ছাড়া ভদ্রা নদীর ২১ কিলোমিটার, হরি নদের ২০ কিলোমিটার, চিত্রা নদীর ৫০ কিলোমিটার এবং হরিহর নদের ৩৫ কিলোমিটার খননকাজ শুরু করা হবে। খননকাজ শেষ হলে নদীগুলো প্রাণ ফিরে পাবে।

পলাশ কুমার ব্যানার্জি আরও বলেন, ভৈরব নদের ওপর সরু সেতু থাকায় নৌ যোগাযোগ স্থাপনসহ জোয়ারভাটা প্রবাহ নির্বিঘ্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। সরু সেতুগুলো দ্রুত সম্প্রসারণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দপ্তরগুলো থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নদ-নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। নদ-নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করা হবে। সীমানা চিহ্নিত করার পর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। দ্রুত আপার ভদ্রা নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। নদ-নদীগুলোর দূষণ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।