এলজিইডি প্রকৌশলীর গাড়ি থেকে জব্দ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ
গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের গাড়ি থেকে জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার বিকেলে নাটোরের সিংড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এ আদেশ দেন।
এর আগে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ চেয়ে দুপুরে আদালতে আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের যানবাহন তল্লাশি করছিলেন। রাত দুইটার দিকে বগুড়া থেকে নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির সময় গাড়ির পেছনের ডালায় বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পান। এ সময় গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। পরে তাঁকে ও গাড়ির চালককে সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাবিউল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তা তলব করামাত্র হাজির হবেন, এমন শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। এ সময় তিনি ওই টাকা তাঁর জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করেন। তবে এর সমর্থনে ছাবিউল কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় পুলিশ ওই টাকা ও টাকা বহনকারী গাড়িটি জব্দ করে।
এদিকে এলজিইডির ওই কর্মকর্তা আজ তাঁর টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করতে নাটোর আদালতে এসেছিলেন। ছাবিউলের ভাষ্য, জমি বিক্রি করা টাকা তিনি রাজশাহীতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
সিংড়া আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নুরে আলম প্রথম আলোকে জানান, আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করবেন। তিনি আরও বলেন, আজ সকালে গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম তাঁর কাছে এসেছিলেন জব্দ করা টাকা ফেরত নেওয়ার উপায় জানতে। তাঁকে বৈধ কাগজপত্রসহ আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমেদ জানান, টাকাগুলো এলজিইডির কর্মকর্তা জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। তাই টাকার বৈধতা নিরূপণের জন্য তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন পাঠিয়েছেন। তাঁরা তদন্ত করে টাকার উৎস সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।