লংগদুতে নৌকায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১

লংগদুতে বজ্রপাতের শিকার নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বিকেল চারটার দিকেপ্রথম আলো

রাঙামাটির লংগদুতে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় চারজন মারা গেছেন ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের ফুরেরমুখ এলাকার কাপ্তাই হ্রদে নৌকার ওপর বজ্রপাতে তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চালক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময় উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি ইউনিয়নেও বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে। নিহত লোকজন বাজার থেকে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বিকেলে লংগদুর মাইনীমুখ বাজার থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ১০ থেকে ১২ জন ভাসান্ন্যা আদাম ইউনিয়নের ভাসান্ন্যা আদাম গ্রামে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে লংগদু সদর ইউনিয়নের ফুরেরমুখ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ইঞ্জিনচালিত নৌকার তিন যাত্রী ও চালক ঝলসে যান। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন তিন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করলেও নৌকার মাঝি (চালক) এখনো নিখোঁজ। বজ্রপাতের শিকার হয়ে তিনি পানিতে পড়ে তলিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাতে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে।

বজ্রপাতের শিকার নৌযান। আজ বিকেলে রাঙামাটির লংগদুতে
প্রথম আলো

নৌকার নিহত যাত্রীরা হলেন ভাসান্ন্যা আদামের শেখ পাড়ার মো. ওবায়দুল (৩০), মো. জিয়াউল হক (৫০) ও মো. বাচ্চু মিয়া (৩০)। এ ছাড়া নৌকার মাঝি আক্কাস আলী (৪৫) এখনো নিখোঁজ। একই সময় লংগদুর আটারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি গ্রামে একজন মারা যান। তাঁর নাম মিনা বেগম (৩৫)। তিনি নিজ বাড়ির জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

লংগদু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, বজ্রপাতে পৃথক ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন নিখোঁজ। বজ্রপাতের পর পানিতে তলিয়ে যান তিনি।