ছয় বছর আগে শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের সালথায় ছয় বছর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সম্প্রতি দ্রুত বিচার আইনে করা পৃথক দুটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। আজ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাবিবুর রহমান গট্টি ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের মৃত লাল মোহনের ছেলে। তিনি ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজেদাপুত্র শাহদাব আকবরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান একসময় স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তবে ১২ বছর আগে ফরিদপুর-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন তিনি। এরপর হাবিবুর পরপর দুইবার নৌকা প্রতীক নিয়ে গট্টি ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর সালথা কলেজ মাঠে শামা ওবায়েদের পক্ষে একটি জনসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। ওই জনসভায় হামলা চালান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় শামা ওবায়েদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২৮ অক্টোবর শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের ওই ঘটনায় সালথা থানায় একটি মামলা হয়। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা ওই মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৮২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলটির বাদী হয়েছেন সালথা উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুর রব মাতুব্বর।
ওই মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানকে। এ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নে শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের আরেকটি ঘটনায় করা মামলার আসামিও হাবিবুর।