যমুনা সার কারখানার উৎপাদন শুরুর চার দিনের মাথায় আবার বন্ধ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) উৎপাদন শুরু হওয়ার চার দিনের মাথায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ১৩ মাসের বেশি সময় পর গত রোববার কারখানায় সার উৎপাদন শুরু হয়েছিল।
চার দিনের মাথায় আবার সার উৎপাদন বন্ধ হওয়ার বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন যমুনা সার কারখানা কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন।
গ্যাস–সংকটের কারণে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি কারখানায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। ত্রুটি মেরামতের পর রোববার সন্ধ্যা থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। পরে বুধবার রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে হঠাৎ কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঠিক না হওয়ায় কারখানার উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়।
যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ১৩ মাস ২৩ দিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। চার দিন আগে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে বুধবার রাতে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মেরামত না হওয়ায় উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ত্রুটি মেরামত হওয়ার পর আবারও উৎপাদন শুরু করা হবে।
সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দিতে দেশের বৃহত্তম দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা অবস্থিত। প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে ১৯৯১ সালে এই কারখানায় সার উৎপাদন শুরু হয়। কারখানা থেকে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ মোট ১৯ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়।