হবিগঞ্জের শিল্পবর্জ্যের দূষণ বলভদ্র নদী দিয়ে যাচ্ছে মেঘনায়
হবিগঞ্জের শিল্পবর্জ্যের দূষণ বলভদ্র নদী হয়ে এখন মেঘনা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে। দ্রুত দূষণ রোধ করা না গেলে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনবে। আজ শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জে পরিবেশ সচেতনতাবিষয়ক এক পথসভায় পরিবেশবাদীরা এসব কথা বলেন।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামে এ পথসভার আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ধরার সদস্যসচিব ও ওয়াটারকিপার বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, লেখক তাহমিনা বেগম গিনি, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশকর্মী আবদুল কাইয়ূম, বাহার উদ্দিন, চাঁদ সুলতানা চৌধুরী, আনু বেগম প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, হবিগঞ্জের ওলিপুর ও মাধবপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষে অপরিকল্পিতভাবে যেসব শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে, তা পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব শিল্পের বর্জ্য আশপাশের সুতাং নদীসহ খাল-বিল ও জলাশয় দূষণ করছে। এসব বর্জ্য এখন এলাকার অন্যতম নদী বলভদ্র হয়ে মেঘনায় গিয়ে পড়ছে।
সভায় শরীফ জামিল বলেন, কোনো শিল্পকারখানার উৎসে বর্জ্য পরিশোধন না করে আশপাশের খাল–নদী ও জলাশয়ে ফেলতে পারে না। কিন্তু হবিগঞ্জের ওলিপুর ও মাধবপুর এলাকার কারখানাগুলো এ আইন মানছে না। তাঁরা আশা করেন, অন্তর্বর্তী সরকার অবিলম্বে হবিগঞ্জে চলমান ব্যাপক শিল্পদূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
পরে শরীফ জামিলের নেতৃত্বে মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়িয়ার বর্জ্যদূষণ এলাকা পরিদর্শন করেন পরিবেশবাদীরা। এ সময় প্রতিনিধিদল গ্রামের রাজখালসহ আশপাশের নদীনালায় দূষণের ভয়াবহ চিত্র দেখতে পান। স্থানীয় লোকজন দূষণের নানা বর্ণনা তুলে ধরেন পরিবেশবাদীদের কাছে। গ্রামবাসী জানান, দূষণের কারণে আশপাশের খাল-বিলের পানির সংস্পর্শে যাওয়া যায় না। পানি দিয়ে কৃষিকাজ করা যায় না।