যমুনা সার কারখানার উৎপাদন শুরু, গ্যাসের চাপ কম
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গ্যাসের চাপ কম থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
১১ দিনের মাথায় আবার সার উৎপাদন শুরু হওয়ার বিষয়টি আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যমুনা সার কারখানা কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন।
গ্যাস-সংকটের কারণে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কারখানায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। ত্রুটি মেরামতের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে হঠাৎ কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঠিক না হওয়ায় কারখানার উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়। অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটির মেরামত কাজ শেষ হওয়ার পর আজ সকাল থেকে কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের পর উৎপাদন শুরু হয়েছে। সকালের দিকে মোটামুটি গ্যাসের প্রেশার ছিল। দুপুরের দিকে প্রেশার একদম কমে গেছে। ফলে কারখানায় সার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্যাসের প্রেশার বাড়বে। প্রেশার বাড়লেই পুরোপুরি উৎপাদন করা যাবে।’
সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দিতে দেশের বৃহত্তম দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা অবস্থিত। প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন উৎপাদনসক্ষমতা নিয়ে ১৯৯১ সালে এই কারখানায় সার উৎপাদন শুরু হয়। এই কারখানা থেকে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ মোট ১৯ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়।