ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে সদরঘাটে যাত্রীর চাপ কম
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে শেষ মুহূর্তে নৌপথে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ঘরমুখী মানুষ। তবে আজ রোববার সকাল থেকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি।
সদরঘাট টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার ভোর পাঁচটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চ এসেছে ৬০টি। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে গেছে ৫oটি লঞ্চ।
আজ সকালে সদরঘাটে গিয়ে চাঁদপুর, ইলিশা, ভোলা ও বরগুনা রুটে যাত্রীদের কিছুটা চাপ দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীর চাপ কমে আসে। লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
বরিশালগামী এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের কর্মচারী ইলিয়াস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল থেকে তেমন যাত্রী নেই। আগে ঈদের মৌসুমে এ সময় যাত্রীদের ভিড়ে পন্টুনে জায়গা থাকত না। এখন পদ্মা সেতুর কারণে দিন দিন যাত্রী কমে যাচ্ছে। ঈদের সময়ও তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর মহাখালী থেকে আসা ফার্নিচার ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন বলেন, ‘মহাখালী থেকে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সদরঘাটে চলে এসেছি। সকাল সাড়ে ১০টায় এসে দেখি, পন্টুনে যাত্রীদের ভিড় নেই। গত কোরবানির ঈদের আগের দিন এই সময়ে যাত্রীদের ভিড়ে লঞ্চে উঠতে বেগ পেতে হয়েছিল।’ তাঁর ভাষ্য, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনেকেই সড়কপথে বাড়িতে গেছেন। সড়কপথে গেলে সময়ও কম লাগে।
চিটাগং রোড থেকে আসা এমভি প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের যাত্রী পোশাককর্মী রাহেলা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে টার্মিনালে এসে দেখি লঞ্চে যাত্রী কম। তাই স্বাচ্ছন্দ্যে ছেলেমেয়েকে নিয়ে ডেকে বসতে পেরেছি।’
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের সদস্য ও এমভি পূবালী লঞ্চের মালিক আব্দুল খালেক বলেন, আজ থেকে সদরঘাটে যাত্রী কম। দুপুর ১২টার দিকে পায়রা বন্দরের উদ্দেশে তাঁর একটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। কিন্তু লঞ্চে তেমন যাত্রী হয়নি।
তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদের দুই দিন আগে থেকে পোশাককর্মীরা নৌপথে লঞ্চে যেতেন। অথচ এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। বেশির ভাগ পোশাককর্মী সড়ক পথে বাড়িতে গেছেন। এ জন্য ঈদের আগের দিন সদরঘাটে তেমন যাত্রী নেই।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সুলাইমান বলেন, সকাল থেকে টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীর চাপ কম। তারপরও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাত্রীসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, যাত্রীদের সেবায় ও নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর আছে। যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারে, সে জন্য তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।