হত্যার পর লাশ রাখা হয় কচুরিপানার নিচে, আটক দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার

মরদেহপ্রতীকী ছবি

ঢাকার নবাবগঞ্জে নিখোঁজের এক দিন পর রাকিব হোসেন (২১) নামের এক অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা আগলা পূর্বপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

রাকিব নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর শাহবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অন্যদিকে আটক ব্যক্তিরা হলেন আগলা পোস্ট অফিস এলাকার ইয়াছিন (৩৫) ও কৈলাইলের মেলেং এলাকার আবদুর রহমান (১৮)।

পুলিশ ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অটোরিকশা নিয়ে বাড়িতে না ফেরায় রাকিবকে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনেরা। এ সময়ে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাকিবের বড় ভাই রবিউল হোসেন নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাকিবের মুঠোফোনে কললিস্টের সর্বশেষ নম্বরটি বের করা হয়। একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. ইয়াছিনকে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবদুর রহমান নামের আরেক তরুণকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, ইয়াসিন ও আবদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রাকিবকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ গুমের বিষয়টি সামনে আসে। তাঁরা জানায়, হত্যার পর লাশটি একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে আগলা পূর্বপাড়া এলাকায় একটি মাছের খামারের পুকুর থেকে রাকিবের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটির ময়নাতদন্তের আজ সকালে রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রাকিবের ভাই রবিউল বলেন, তাঁর ভাইকে ইয়াছিন ও রহমান পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি চান তিনি।

এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্জন এলাকায় নিয়ে অটোচালককে গলা কেটে ও মাথায় কুপিয়ে হত্যার পর লাশটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে মনে হচ্ছে, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।