প্রত্যেক নারীর গাইনোকোলজি ফিজিওথেরাপি সম্পর্কে জানা দরকার

গাইনোকোলজি ও অবস্ট্রেটিক রোগীদের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা নিয়ে কর্মশালা। আজ শুক্রবার সাভারের সিআরপিতেছবি: প্রথম আলো

কর্মশালায় নারীর স্বাস্থ্য নিয়ে কীভাবে গাইনোকোলজি ফিজিওথেরাপিতে আমরা কাজ করতে পারি, সে বিষয়টি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে খুব বেশি কাজ হয়নি। প্রত্যেক নারীর গাইনোকোলজি ফিজিওথেরাপি সম্পর্কে জানা দরকার। কেননা এর মাধ্যমে নারীরা শারীরিকভাবে ভালো থাকতে পারেন।

ঢাকার সাভারে গাইনোকোলজি ও অবস্ট্রেটিক রোগীদের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা নিয়ে আজ শুক্রবার দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশ নিয়ে জারিন তাসনিম সূচনা এ কথা বলেন। সাভারে অবস্থিত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) রেনাটা ফামাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষ থেকে গাইনোকোলজি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বিষয়ে আজ সকাল নয়টা থেকে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

সিআরপির ফিজিওথেরাপি বিভাগে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন জেলার ৩৫ জন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক অংশ নেন। কর্মশালায় গাইনোকোলজি ও অবস্ট্রেটিক রোগীদের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা, বাচ্চা নেওয়ায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা, প্রেগন্যান্সির সময়ে তিনটি ধাপে ফিজিওথেরাপির ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপিস্ট ফারজানা শারমিন বলেন, বাংলাদেশের নারীদের গাইনোকোলজির সমস্যা সঠিকভাবে নিরূপণ হয় না এবং নারীরা তাঁদের সমস্যার কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। এ কারণে তাঁরা অনেক বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হন। সঠিকভাবে চিকিৎসকেরা যদি রোগীর সমস্যা নির্ধারণ করতে পারেন, তাহলে নারীদের সমস্যা খুব সহজে চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। এ ধরনের কর্মশালার মধ্য দিয়ে ভালো চিকিৎসক তৈরি হবেন, নারীরাও এসব রোগ থেকে চিকিৎসায় ভালো হবেন।

ফারজানা শারমিন আরও বলেন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক যাঁরা আছেন, তাঁরা যেন গাইনোকোলজি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে জানতে ও এ বিষয়ে চিকিৎসা দিতে পারেন এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকেরা এই গাইনোকোলজি–সম্পর্কিত রোগীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে চিকিৎসা করতে পারেন—সেই লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।