কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সেলিম তালুকদার (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর টিঅ্যান্ডটি এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
নিহত সেলিম তালুকদার নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত ১৮ জুলাই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাড্ডা লিংক রোডের বাসায় তাঁর লাশ নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁর লাশ গ্রামে পৌঁছালে আত্মীয়স্বজন ও সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিম ছিলেন মেজ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। সেলিম নলছিটি পৌরসভার মল্লিকপুর টিঅ্যান্ডটি এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে। তাঁরা সপরিবার বাড্ডা লিংক রোডে বসবাস করতেন।
সেলিম বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে দুই বছর আগে স্নাতক সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেডের সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন।
সেলিমের বাবা সুলতান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। এ সময় মাথা, বুক ও পিঠে তাঁর গুলি লাগে। ফুসফুসেও গুলি লাগে। সেলিমের মুঠোফোন থেকে কল করে এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানান। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। চার দিন বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে শেষে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।