জয়পুরহাটে উৎসবমুখর পরিবেশে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা শুরু
আগের রাতের বৃষ্টিতে জয়পুরহাট শহরের পথঘাটে বৃষ্টির খানিক পানি জমেছে। ভোরেও ঝরেছে ঝিরঝির বৃষ্টি। আর আজ শনিবার আকাশে কখনো রোদ হেসেছে, কখনো মেঘে ডুবেছে সকালের সূর্য। এরই মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে আসতে শুরু করে শিখো-প্রথম আলো কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে।
তাদের কারও সঙ্গে এসেছেন অভিভাবক, কেউ কেউ এসেছে একাই, কেউ আবার দল বেঁধেছে বন্ধুদের সঙ্গে। তাদের সবাই ভিড় করেছে জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে।
আয়োজকেরা বলেন, সকাল আটটার আগেই সেখানে ক্রেস্ট ও স্ন্যাকস বক্স বিতরণের বুথ প্রস্তুত করা হয়। যখন ঘড়ির কাঁটা সকাল নয়টার ঘরে, তখন একযোগে তিনটি বুথে উৎসবমুখর পরিবেশে কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও নাশতা বিতরণের কাজ শুরু করেন বন্ধুসভার সদস্যেরা। ‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছরের উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল ১০টায় মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কৃতী সংবর্ধনার মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা। কৃতী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে জয়পুরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা আছে। এবার সংবর্ধনায় অংশ নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করে জেলার পাঁচ শতাধিক কৃতী শিক্ষার্থী।
এসব শিক্ষার্থীর একজন নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী নারমিন সুমাইয়া। তাঁর নীলফামারীতে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে যেতে না পারায় জয়পুরহাটে নিবন্ধন করে সে। আজ সকাল সকাল মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে সে। সুমাইয়ার মা মাহমুদা বেগম বলেন, ‘জিপিএ-৫ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমরা মা-মেয়ে পার্বতীপুর থেকে এসেছি। আমাদের খুব ভালো লাগছে। এ রকম আয়োজন আমার মেয়েকে ভালো ফলে অনুপ্রাণিত করবে।’