রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধরমপুর সমশের আলী মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন সেখানকার ভোটার আবুল কালাম আজাদ। চারবার চেষ্টা করেও তাঁর ভোট নিতে পারেননি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। মনের দুঃখে ইভিএমকে দোষারোপ করতে করতে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আর ভোটই দেবেন না। একটা ভোট দেওয়ার পর বাকি দুটি ভোট দিতে পারেননি তিনি। প্রিসাইডিং অফিসার একটু পরে এসে ভোট দিয়ে যেতে বলেছেন। তবে তিনি আর ভোট দিতে আসবেন না। এখান থেকে যাওয়ার পর কাজে চলে যাবেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইভিএম নষ্ট, চারবারের চেষ্টাতেও ভোট দিতে পারেননি। মেশিন ঠিকমতো কাজ করছে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ বুধবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। আবুল কালাম আজাদের মতো একই অভিযোগ অনেক ভোটারের। তাঁরা বলছেন, খুব ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ চলছে। মনে হচ্ছে যেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনটি (ইভিএম) নষ্ট।
ধরমপুর সমশের আলী মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণে দেরি হওয়ায় ভোটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁদের শান্ত করতে এগিয়ে আসেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কেন্দ্রে প্রচুর ভোটার। দু-একজনের এমন হতেই পারে। কিন্তু ইভিএম ঠিক আছে।
একই ঘটনা ঘটেছে ডাঁশমারী উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রেও। সেখানেও ইভিএম কাজ করছে না বলে ভোটারদের অভিযোগ। ফরজ আলী নামে এক ভোটার সকাল আটটা থেকে ভোটকেন্দ্রের সামনে অবস্থান করছেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়ে আছি। তিন ঘণ্টা হয়ে গেল লাইন একটুও এগোচ্ছে না। এক ঘণ্টায় একজন করে ভেতরে ঢোকাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন মেশিন (ইভিএম) নষ্ট হয়ে গেছে।’
ফরজ আলীর মতো একই অভিযোগ ভোটার মকবুল হোসেন ও মো. আসলামের। দুজনই ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁরা সকাল ৮টায় ভোট দিতে এসে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নুর হোসেন বলেন, একটি কক্ষের ইভিএম মনিটরে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে ঠিক করা হয়েছে। সে জন্য ভোট গ্রহণে একটু ধীরগতি। দুই ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৪৭টি ভোটের মধ্যে ৫০০–এর বেশি ভোট পড়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষ হবে বলে জানান তিনি।