তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু, কমবে লোডশেডিং

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রপ্রথম আলোর ফাইল ছবি

ছয় দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে দৈনিক ২০০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটিতে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে গড়ে দুটি ইউনিট থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রর ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল। ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে এ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তিন ইউনিটের হলেও দুটি ইউনিটেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। বাকি ইউনিটটি ওভার ওয়েলের জন্য বন্ধ থাকে। এর মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায় ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন। টানা ৩৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইউনিটটি চালু হলেও দুই দিন পর (৯ সেপ্টেম্বর) অয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। চায়না থেকে নতুন অয়েল পাম্প এনে স্থাপনের পর তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে, যা থেকে ২০০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এর ফলে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কমে আসবে বলে আশা করছি।’