‘না, না, না, মাদককে না।’ বারবার এমন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ময়মনসিংহের প্রিমিয়ার আইডিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের সম্মেলনকক্ষ। সেখানে উপস্থিত চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে বারবার এ স্লোগান শেখাচ্ছিলেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম।
আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের প্রিমিয়ার আইডিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মাদকবিরোধী আলোচনা ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অতিথিরা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম এ এস পাঠান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. চাঁন মিয়া।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সভার শুরুতে প্রিমিয়ার আইডিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মাদকরিবোধী বক্তব্য দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, কেউ যেন কোনো অবস্থাতে কোনো দিন মাদক স্পর্শ না করে। এ সময় মেয়র উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাদককে ‘না’ বলে শপথ করান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রিমিয়ার আইডিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাঁন মিয়া বলেন, ‘প্রত্যেককে নিজের মা–বাবার কথা শুনে চলতে হবে। কখনো মিথ্যা কথা বলা যাবে না। তাহলে মাদকমুক্ত থাকার আশা জাগবে। একটি পরিবারের একজন সন্তান যদি মাদকাসক্ত হয়, তাহলে ওই পরিবার ধ্বংসের দিকে চলে যায়। আমি চাই, আমার স্কুলের একজন শিক্ষার্থীও যেন কোনো দিন মাদক স্পর্শ না করে।’
মাদক থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে মনোরোগবিদ এম এ এস পাঠান বলেন, প্রত্যেককে পরিবারের সঙ্গে বেশি বেশি করে সময় কাটাতে হবে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হলে সন্তানেরা মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। ধর্মীয় বিধান মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রথম আলোর ময়মনসিংহ কার্যালয়ের বিজ্ঞাপন সহযোগী সাদিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের পরিদর্শক মো. কবীরুল হাসান ও প্রথম আলোর ময়মনসিংহ প্রতিনিধি কামরান পারভেজ। এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের সংবাদপত্র বিক্রয়কারী এজেন্ট বুক সেন্টারের পরিচালক শাহনুর ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন ময়মনসিংহ বন্ধুসভার সদস্যরা।