হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
হবিগঞ্জে দেড় বছর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মুরাদ আলীসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আওয়াল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ মামলাটি করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে ১৮ জনই পুলিশ সদস্য। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর কবীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপির ওই নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং হামলা চালান। পাশাপাশি তাঁরা গুলিবর্ষণ করতে থাকলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছের বাসায় আক্রমণ করে গুলি ছুড়তে থাকেন। তাঁরা বাসার একটি কক্ষের জানালা ভেঙে সেখানে অবস্থানরত পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আওয়ালকে গুলি করেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় আজ এ মামলা করেন।
পুলিশ সুপার ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন হবিগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান, পরিদর্শক বদিউজ্জামান, হবিগঞ্জ সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মামলার বাদী এস এম আওয়াল বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার সময় আসামিরা ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছের বাসায় আশ্রয় নিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাঁর ওপর গুলি ছোড়ে। এতে তাঁর শরীর ও দুই চোখে গুলি লাগে। এখনো তিনি চোখে দেখতে পারেন না।