কিশোরগঞ্জ শহরে শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর

কিশোরগঞ্জের শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায় দুর্গাপূজার ৭টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দৃর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের মণিপুরঘাট রোডে
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায় দুর্গাপূজার সাতটি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। শহরের বত্রিশ এলাকায় মণিপুরঘাট রোড হিন্দুপাড়ার গোপীনাথ সংঘ এই পূজার আয়োজক।

সংঘের সদস্যরা জানান, এই আখড়ায় এবারই প্রথমবার তাঁরা দুর্গাপূজার উদ্যোগ নিয়েছেন। রাত চারটা পর্যন্ত পাহারায় ছিলেন কয়েকজন। এরপর ভোরের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা দুর্গা প্রতিমাসহ মোট সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আখড়ার লোকজন জানান, মহালয়া পেরিয়ে পূজার বাকি মাত্র সাত দিন। প্রতিমা তৈরির কাজও ছিল প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু রং করার বাকি ছিল। ভোরে পাহারা না থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে গেছে।

রাতভর প্রতিমা পাহারায় থাকা গোপীনাথ সংঘের সদস্য অপু কান্তি রায় প্রথম আলোকে বলেন, রাত চারটা পর্যন্ত তাঁরা পাঁচজন মন্দির পাহারায় ছিলেন। বৃষ্টি নামার পর ভোরে ঘুমাতে যান। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান, দুর্গা, লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিকসহ সাতটি প্রতিমা ভাঙা। অপু কান্তি রায় বলেন, পূজা করতে দূরে যেতে হয় বলে এলাকায় প্রথমবারের মতো তাঁরা দুর্গাপূজার আয়োজন করছিলেন। এ ঘটনায় তাঁরা মুষড়ে পড়েছেন।

পূজাকমিটির লোকজন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান, দুর্গা, লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিকসহ সাতটি প্রতিমা ভাঙা। এ ঘটনায় তাঁরা মুষড়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

গোপীনাথ সংঘ ও গোপীনাথ মন্দির পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি লিটন সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার সাহা বলেন, প্রথমবারের মতো তাঁরা এলাকাবাসী মিলে পূজার আয়োজন করেছেন। প্রশাসনের কাছে দাবি, এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। দুষ্কৃতকারী যে–ই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’