কুড়িগ্রাম থেকে ৯ হাজার বই পাচারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি, অফিস সহকারী আটক

পাচারকালে জব্দ করা মাধ্যমিকের বিনা মূল্যে বিতরণের বই। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর সদর থানা প্রাঙ্গণেছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার বই বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাচারকালে জব্দের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের এক অফিস সহকারীকে (পিয়ন) আটক করেছে পুলিশ।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শেরপুরে বই জব্দের ঘটনায় রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী জামাল হোসেনকে (৪৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ধাতিয়াপাড়া গ্রাম থেকে সদর থানার পুলিশ ট্রাকসহ এসব বই জব্দ করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ মাহিদুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। আটক মাহিদুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায়। মাহিদুল এসব বই ঢাকায় পাচারের কাজ করছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি চক্র রৌমারী থেকে সরকারি বই বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে শেরপুর সদর থানার পুলিশ সদর উপজেলার ধাতিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে একটি বাড়িতে রাখা ট্রাকবোঝাই প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিকের বইসহ পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে এবং পরে সেটি সদর থানায় নিয়ে আসে। ট্রাকটিতে ২০২৫ সালের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের প্রায় ৯ হাজার বই ছিল বলে পুলিশ জানায়।

আরও পড়ুন

রৌমারী থেকে বই পাচারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিটি উপজেলায় বই বিতরণ উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাই রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। বই পাচারের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন