বিদেশিরা নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখে সন্তুষ্ট: ইসি আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিদেশিদের কাছ থেকে কোনো রকম চাপ নেই। তাঁরা দেশের বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী। বিদেশিরা বিভিন্ন সময়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাঁদের ভালো পরামর্শগুলো গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখে তাঁরা (বিদেশিরা) ইতিমধ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদ পারভেজ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় নেত্রকোনা-৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরেকটি মতবিনিময় সভা করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আলমগীর বলেন, নির্বাচনের দিন সাংবাদিকেরা ভোটকক্ষের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে ভোট কক্ষে ১০ মিনিটের বেশি সময় থাকা যাবে না। তাঁরা চাইলে কেন্দ্রের প্রাঙ্গণ থেকে সরাসরি ভিডিও দৃশ্য সম্প্রচার করতে পারবেন। এমনকি ভোট গণনার সময়ও তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তারা প্রার্থীদের এজেন্টদের সামনেই ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণা করবেন এবং তাঁদের স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্রে ফলাফল টাঙিয়ে দেবেন। প্রার্থীরা যাতে ঠিকমতো এজেন্ট দিতে পারেন, সে ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অতীতে সব নির্বাচনে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে। এবারও তা হতে পারে। নতুন করে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন পর্যালোচনা ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
প্রশাসনের রদবদলে কোনো রকম বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যৌক্তিক কারণেই মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। তাঁরা এ মাটিরই সন্তান এবং প্রত্যেকে চৌকস ও মেধাবী। তাঁরা পাহাড়-সমতল সবখানে কাজ করতে অভ্যস্ত। কাজেই এই রদবদলে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।