কুমিল্লায় বালিকা বিদ্যালয়ের ভর্তির লটারিতে ছেলে শিক্ষার্থীর নাম, যে কারণ বললেন সংশ্লিষ্টরা

কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ছবি: প্রথম আলো

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। কুমিল্লা নগরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের লটারির ফল নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এ বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় এসেছে এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম। এ নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ভাষ্য, লটারির পুরো প্রক্রিয়াটি হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। সম্ভবত ওই ছাত্রের পরিবার ভুলক্রমে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নাম পছন্দের তালিকায় দিয়েছে। এ জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই ছাত্রের বাবার দাবি, তাঁরা এই বিদ্যালয়ের নাম পছন্দের তালিকায় দেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সারা দেশে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মর্নিং শিফটে নাম এসেছে ১১০ জন শিক্ষার্থীর নাম। এর মধ্যে তালিকার ৪১ নম্বরে রয়েছে এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমরাও জানি না মেয়েদের স্কুলে কীভাবে আমার ছেলের নাম এসেছে। আমরা পছন্দের তালিকায় ওই স্কুলের নাম দিইনি। আমি কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা হাইস্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম দিয়েছি পছন্দের তালিকায়। আমার ছেলের নাম কুমিল্লা হাইস্কুলেও এসেছে। তাঁকে এখানেই ভর্তি করাব। ওই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’

নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, ‘লটারিতে আমাদের স্কুলে একজন ছেলে শিক্ষার্থীর নাম চলে এসেছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা আবেদনের সময় এই ভুল না করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়। মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। তাই ওই শিক্ষার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এমন ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবশ্যই ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বা যার মাধ্যমে আবেদন করেছেন তিনি ভুলক্রমে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নাম পছন্দের তালিকায় দিয়েছেন। না হলে এটা হওয়া সম্ভব না। যেহেতু পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল মাধ্যমে, তাই সেখানে ভুলে এই স্কুলের নাম পছন্দ দেওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।