ধর্ষণের মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

ধর্ষণ মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবদুস সালাম খান জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন শহীদুর রহমান খান। আজ ছিল সেই জামিনের শেষ দিন। আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে গতকাল রোববার এ মামলার অপর আসামি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৩ মার্চ খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এ এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি গ্রহণ করতে সোনাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দেন। ওই নারী মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছিলেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে শহীদুর রহমান বিয়ের কথা বলে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আর তাঁর ওই কাজে সহযোগিতা করেন রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারী আদালতের আশ্রয় নেন।

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগকারী ওই নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি বিভাগে চাকরি করতেন। পরে তাঁকে উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে।