সাজেকে আটকে পড়া দেড় হাজার পর্যটক নিরাপদে ফিরেছেন
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে আটকে পড়া দেড় হাজার পর্যটক নিরাপদে ফিরেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটায় সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা দেন পর্যটকেরা। এ সময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পর্যটকদের গাড়ির বহরকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। টানা অবরোধের কারণে গত শনিবার থেকে এসব পর্যটক আটকে পড়েছিলেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য সময় সকাল সাড়ে ১০টায় সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে পর্যটকেরা রওনা দেন। তবে আজ সকাল সাতটার দিকে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে তাঁরা নিরাপদে খাগড়াছড়ি পৌঁছেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আটকে পড়া দেড় হাজার পর্যটক ও পাঁচ শ যানবাহনচালককে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিকেরা বিনা মূল্যে খাবার দেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে সিএইচটি ব্লকেড নামে একটি সংগঠন ৭২ ঘটনা অবরোধের ডাক দেয়। এ অবরোধে সমর্থন দেয় বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ও ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
অবরোধ ঘোষণা দেওয়ার পর বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এ ছাড়া নন্দারাম ও গঙ্গারাম এলাকা বেইলি সেতুর পাটাতন খুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে ওই সড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে যাওয়া অন্তত দেড় হাজার পর্যটক আটকে পড়েন। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অন্তত ১৫০টি জিপ ও ২০টি মহেন্দ্র-সিএসজিচালিত অটোরিকশায় করে পর্যটকেরা সাজেকে যান। পরদিন শনিবার সকালে এসব পর্যটকের ফিরে আসার কথা ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ অবরোধ ডাক দেওয়ায় পর্যটকেরা ফিরে আসতে পারেননি। সময়মতো ফিরতে না পেরে অনেকে অসুস্থ হন এবং টাকা শেষ হয়। এর মধ্যে অসুস্থ ও জরুরি প্রয়োজনে ২ দিনে অন্তত ৩০ জন পর্যন্ত হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফিরে গেছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, সাজেকে আটকে পড়া দেড় হাজার পর্যটককে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পাহারায় তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁরা নিরাপদে খাগড়াছড়ি পৌঁছেছেন বলে তিনি জানান।