রাজবাড়ীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পৌরসভার কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

রাজবাড়ী পৌর ভবন। আজ সকালে তোলাছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ী পৌরসভার এক কর্মচারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই কর্মচারী।

অভিযোগকারীর নাম মোকলেছুর রহমান। তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার পৌরসভার হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত। অন্যদিকে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি ও মোকলেছুরের মামাতো ভাই।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পৌরসভা চত্বরে প্রতিবাদ সভা করেছে রাজবাড়ী পৌর কর্মচারী সংসদ। তাঁরা তোফাজ্জল হোসেনের বিচার দাবি করেছেন।

মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বেলা ১১টার দিকে আমি নিজ কক্ষে কাজ করছিলাম। এ সময় তোফাজ্জল হোসেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তায়েব আলীর কক্ষে ঢুকে আমাকে ডেকে পাঠান। কক্ষটিতে যাওয়া মাত্রই তিনি বেশ উত্তেজিত হন। একপর্যায়ে আমার হাত ধরে টানাটানি করে বলতে থাকেন, “চল তোকে ডিসির (জেলা প্রশাসক) কাছে যেতে হবে।” কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার গালে চড় মারেন তিনি। এ সময় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মচারীরা তাঁকে থামিয়ে আমাকে নিজ কক্ষে নিয়ে আসেন।’

মোকলেছুর বলেন, ‘তিনি (তোফাজ্জল) কেন আমার গায়ে হাত তুলেছেন এবং গালমন্দ করছিলেন, জানি না। আমি এর বিচার চাই।’

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তায়েব আলী বলেন, ‘সাবেক মেয়র তোফাজ্জল আমার কক্ষে প্রবেশ করার আগে তাঁদের মধ্যে মুঠোফোনে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পৌরসভার আগের কোনো বিষয় নিয়ে মোকলেছুর রহমানের ওপর তিনি হয়তো ক্ষিপ্ত ছিলেন।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘মোকলেছুর রহমান সম্পর্কে আমার ফুপাতো ছোট ভাই। অন্যায় করলে একটু শাসন করতেই পারি। পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়েছে। যেহেতু আমি পৌরসভার মেয়র ছিলাম। সেখানে দেখা হলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একটা চড় মেরেছি।’

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।