চট্টগ্রামে সাত থানায় আগুন, ভাঙচুর

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় আগুন দেওয়া হয়। গতকাল বিকেলেছবি:সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগর ও জেলার সাতটি থানায় হামলা ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিকেলে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। থানার সামনে থাকা মোটরসাইকেলও নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন মানুষ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরের কোতোয়ালি থানায় একদল লোক ঢুকে থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ভেতরে ভাঙচুর চালায়। আগুন দেওয়া হয় নগরের পতেঙ্গা থানায়। ভাঙচুর করা হয় সদরঘাট, ইপিজেড, ডবলমুরিং থানায়। ডবলমুরিং থানার সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলও নিয়ে যান বিক্ষুব্ধ লোকজন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। কিছু থানায় হামলা হয়েছে।

এদিকে জেলার হাটহাজারী থানায়ও হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। থানার সামনে থাকা সাজোয়া যান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গুলি করে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়। এতে আটজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ সন্ধ্যায় লোহাগাড়া থানায়ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ লোকজন। বিক্ষুব্ধ লোকজন থানার ফটক ভেঙে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত থানায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে তাঁদের বেশ কিছু নথিপত্র ও সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

এর আগে বিকেলে নগরের দামপাড়ায় অবস্থিত নগর পুলিশের সদর দপ্তর, দামপাড়া পুলিশ লাইনসে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। পরে পুলিশ গুলি করে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে সরিয়ে দেয়। এ ছাড়া মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনস, হালিশহরে জেলা পুলিশ লাইনসে হামলার চেষ্টা চালানো হয়।