মা-বাবার ঝগড়ার জেরে মেয়ের মাথায় লাঠির আঘাত, হাসপাতালে নিতে নিতে মৃত্যু
মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার লাঠির আঘাতে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার যাদুয়ারচর গোমস্তাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কলেজছাত্রীর নাম আইরিন আক্তার (১৭)। সে উপজেলার বহরমগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনার পর থেকে তার বাবা উপজেলার গোমস্তাকান্দি এলাকার ফরহাদ গোমস্তা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে ফরহাদ গোমস্তার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নাজমা বেগমের কথা–কাটাকাটি থেকে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফরহাদ গোমস্তা একটি কাঠের লাঠি দিয়ে মেয়ে আইরিনের মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হয় আইরিন। পরে তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আইরিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজমা বেগম বলেন, ‘ওর বাবা আমার সঙ্গে শত্রুতা করে নিজের মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিল। সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে কথায় কথায় গায়ে হাত তুলত। আজ আমার মেয়েটারে মেরেই ফেলেছে। আমার মেয়ে হত্যাকারীর সঠিক বিচার চাই।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়ে পড়ালেখা করে না—এই নিয়ে মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায় বাবা ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েকে মারতে গেলে মেয়ে মাথায় আঘাত পায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মেয়েটি মারা যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বাবা পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে লাশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।