ভুট্টাখেত থেকে উদ্ধার মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে
রংপুরের বদরগঞ্জে ভুট্টাখেত থেকে মুখমণ্ডল পোড়া নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর নাম মোছা. শান্তা (৩০ বছর)। তবে কারা, কেন, কোথায়, কীভাবে ওই নারীকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।
বদরগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শান্তার বাড়ি ঢাকার পল্লবীতে। আট বছর আগে বদরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি মাদারগঞ্জ এলাকার রুবেল মিয়ার সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়। চার বছর আগে রুবেল মারা যায়। পরে একই উপজেলার মৌয়াগাছ ঝাড়খণ্ড গ্রামের মোহাম্মদ আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু শান্তাকে রেখে মোহাম্মদ আলী আরেক নারীকে বিয়ে করার পর নতুন স্ত্রী নিয়ে সৈয়দপুরে বসবাস করেন। শান্তা দ্বিতীয় স্বামীর ঘরের দেড় বছর বয়সের ছেলেসন্তানকে নিয়ে তারাগঞ্জ উপজেলায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই সন্তানকে ভাড়া বাসায় একজনের কাছে রেখে শান্তা বদরগঞ্জে আসেন।
পুলিশ জানায়, প্রথম স্বামী রুবেলের সঙ্গে সংসারে শান্তা একটি মেয়েসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। বর্তমানে মেয়েটির বয়স ছয় বছর। ওই শিশুসন্তানটি রুবেলের মা–বাবার কাছে রয়েছে। বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ভুট্টাখেত থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতনামা ওই নারীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে তাঁর (শান্তার) মা–বাবা আজ সকালে বদরগঞ্জ থানায় এসেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শান্তার লাশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘আশা করছি দ্রুতই শান্তাকে হত্যার কারণ উদ্ঘাটনসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
গত শুক্রবার দুপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরহাট বালাপাড়া গ্রামের পাশের একটি ভুট্টাখেত থেকে ওই নারীর মাথাসহ মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।