প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস থাকবে: উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। আজ রোববার দুপুরে রংপুর আরডিআরএস মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি কর্মশালায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান হয়ে গেল, পাঠ্যপুস্তকগুলোতে তা গল্প বা ছবি আকারে থাকবে। এবার চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে এসব যুক্ত করা হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘স্কুল ফিডিং প্রকল্প’ চালুর বিষয়ে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘আমরা প্রথমে ১৫০টি স্কুল নির্বাচন করেছি। যে অঞ্চলগুলো তুলনামূলক দরিদ্র, সেগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। সেগুলোতে আগামী শিক্ষাবর্ষে দুপুরের খাবার চালু হবে। ক্রমান্বয়ে সব কটি বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি চালু করা হবে।’
নতুন বই বিতরণের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১ জানুয়ারিতে শতভাগ বই দেওয়া হবে। তবে আগের মতো উৎসব করে দেওয়া হবে না। প্রাথমিকের পাঠ্যক্রমে কোনো পরিবর্তন আসছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে সমাজে বিভিন্ন রকম মনোভাব প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন প্রাথমিকে বাচ্চাকে সবকিছু শিখিয়ে ফেলতে হবে। আমরা তা মনে করি না। দুনিয়ার যাঁরা শিক্ষাবিদ, কেউই এটা মনে করেন না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে, শিশুকে স্বাক্ষরজ্ঞান গড়ে তোলা। এর মানে শিক্ষার্থী তার মাতৃভাষায় বইয়ের লেখাটুকু পড়তে পারে, মনের কথাটুকু মাতৃভাষায় সহজ করে লিখতে পারে এবং প্রাথমিক যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ যেন করতে পারে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের ছেলেমেয়ে কিন্ডারগার্টেনে পড়ে, এ ক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা এ রকম একটি নির্দেশনা দেব। কারণ, আপনার (শিক্ষক) নিজের বাচ্চাকে যদি ওই স্কুলে না পড়ান, তাহলে অন্যের বাচ্চাকে কী পড়াবেন?’