স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
সারা দেশে নারীদের নিরাপত্তা, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১২টা ২৫ মিনিটে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান ও অবরোধ শুরু করেন। অবরোধ চলাকালে যান চলাচল বন্ধ ছিল, তবে জরুরি পরিষেবার যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত কয়েক দিন দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর ফলে তিনি উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা যে আশা–আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জীবন দিয়েছিল, রক্ত ঝরিয়েছিল, সে আকাঙ্ক্ষার মধ্যে অন্যতম ছিল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। একের পর সন্ত্রাসী কার্যক্রম সামনে এলেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
গণ–অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশিদ বলেন, ‘৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে আমাদের সবার আশা–আকাঙ্ক্ষার সরকার গঠিত হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, আমার মা-বোনেরা নির্বিঘ্নে নিরাপদে যখন ইচ্ছা যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবেন। আমরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা–বাণিজ্য করতে পারব এবং নিরাপদে চলাচল করতে পারব। ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা পরিষদের যে সেক্টরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ছিল, আমরা দেখেছি সেই সেক্টরেই সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। বর্তমান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’