পুরোনো প্রাঙ্গণেই ফিরছে চট্টগ্রামের বইমেলা, ১ ফেব্রুয়ারি শুরু

অমর একুশে বই মেলার প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরেছবি: সংগৃহীত

এক বছর পর আবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে ফিরছে চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলা। আগামী শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত এই বইমেলার উদ্বোধন করবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জিমনেসিয়াম চত্বরে মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। এবারের মেলায় ১৪০টি স্টল রয়েছে। গত বছর নগরের সিআরবিতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে জিমনেসিয়াম চত্বরেই অনুষ্ঠিত হতো একুশের বইমেলা।

সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ২০১৯ সাল থেকে জিমনেসিয়াম মাঠে সম্মিলিত বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেন। তখন থেকেই সিটি করপোরেশনের আয়োজনে এই মেলা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকার অভিজাত প্রকাশনী সংস্থাগুলো মেলায় অংশ নিচ্ছে এবং তাদের স্টলও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক লাখ বর্গফুটের মাঠজুড়ে ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রকাশনা রয়েছে ৭৪টি এবং ঢাকার প্রতিষ্ঠান থাকবে ৪৪টি। ঢাকা থেকে আরও প্রকাশনা সংস্থা স্টল চেয়েছিল। কিন্তু চট্টগ্রামের প্রকাশনা সংস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এবারের মেলায় মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এ আয়োজনে সবাইকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যাচ্ছে।

মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অনেকেই মুঠোফোন ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সময়, অর্থ, স্বাস্থ্য সবাই শেষ করছে এর পেছনে। এতে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বই অন্যতম বন্ধু, যা তাদের মুঠোফোন ও মাদকের আসক্তি থেকে বের করে সৃজনশীল মেধাবী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো মেলায় সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে। এবার মেলামঞ্চে প্রতিদিনের সাংস্কৃতিক পর্বে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুল ও লোকসংগীত, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা ও দেশের গানের আয়োজন করা হবে। মেলামঞ্চে প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের জাগরণী গান ও দেশাত্মবোধক গানের আয়োজন থাকবে।

মেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের নেতারা।