পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আবার কর্মবিরতিতে যাবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আলোচনা সভা করেছে অফিসার সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত এই আলোচনা সভায় আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি তাঁরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে। এর আগে আগামী রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি, সোমবার ছাত্রসংগঠন ও মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি)) প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরা মতবিনিময় সভা করবেন।

আজ বৃহস্পতিবার অফিসার সমিতি ছাড়াও চিকিৎসক সমিতি, সহায়ক কর্মচারী ইউনিয়ন সমিতি, সাধারণ কর্মচারী সমিতি ও পরিবহন সমিতির নেতা ও সদস্যরা সভায় অংশ নেন। পরে বিকেলে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ১ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করে শুধু সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। পোষ্য কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিলের দাবিতে পরদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সহ–উপাচার্য, প্রক্টর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসকসহ দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর তাঁরা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওই রাতেই পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল বলে ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।

এই ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর পর থেকে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও সর্বশেষ বুধবার দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, তাঁরা কোনো কোটার জন্য কথা বলছেন না। এটা তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা। এ ধরনের সুবিধা থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হয় না। তাঁরা আজকে সভা করেছেন। সভায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে। কয়েক দিন তাঁরা ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি তাঁরা দুই দিন কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপর দাবি না মানা হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন।