এলাচ আমদানি করেছিলেন ২০২৩ সালে। এরপর ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেই এলাচ বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৮৩০ টাকায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাচ বিক্রি করেছেন ২ হাজার ২০০ টাকা। এভাবে বাড়তি দামে বিক্রি করেন আরও দুবার। সর্বশেষ চলতি জুনে একই এলাচ বিক্রি করেছেন ৪ হাজার ৫৫০ টাকায়। শুধু এলাচের সরবরাহ আদেশ বা এসও বিক্রি করে এভাবেই দাম বাড়াচ্ছিলেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের এক এলাচ আমদানিকারক।
অভিযানে গেলে এই কারসাজি ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে। আজ বুধবার দুপুরের চট্টগ্রাম নগরের খাতুনগঞ্জের এ বি টেডার্সে অভিযান চালান অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ।
কর্মকর্তারা জানান, এ বি টেডার্সে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১ হাজার ৮৩০ টাকায় এলাচ বিক্রি করা হয়েছে। একই এলাচ কোনো কারণ ছাড়া দাম বাড়িয়ে এরপর ২ হাজার ২০০, ৩ হাজার ২০০, ৪ হাজার ২৫০ এবং সর্বশেষ ৪ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। অযৌক্তিকভাবে এলাচের দাম বাড়ানোর অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক অমর কান্তি দাশকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।
উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, হিসাব করে দেখা গেছে, আমদানি খরচ ১ হাজার ৪০০ টাকার মতো। তিনি রসিদে দাম দেখিয়েছেন ৪ হাজার ৫৫০ টাকা। তাঁর দাবি, বাকিতে বিক্রি করেছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি না করলে লোকসান হবে, যা অযৌক্তিক। তাই এসব অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই অভিযানে মূল্যতালিকা না থাকায় সুলতান ট্রেডার্স ও আল আমানত ট্রেডার্সকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ ও মো. আনিছুর রহমান।