শীতলক্ষ্যায় চার বন্ধু গোসলে নেমে একজনের মৃত্যু, আরেকজন নিখোঁজ

পানিতে ডুবে মৃত্যুপ্রতীকী ছবি

ঢাকা থেকে আসা দুই বন্ধুসহ চার বন্ধু মিলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ইফতার করতে যান। ইফতারের আগে বিকেলে তাঁরা নদীতে গোসল করতে নামেন। দুজন তীরে উঠে আসতে পারলেও বাকি দুজন তলিয়ে যান। পরে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আরেকজন এখনো নিখোঁজ।

শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লাশ উদ্ধার হওয়া একজনের নাম মো. নিহাদ ইসলাম (১৮)। আর নিখোঁজ কিশোরের নাম মো. আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭)। আর বেঁচে ফেরা দুজন হলেন মো. রেজাউল তানভীর (১৮) ও মো. সামির খান (১৭)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান ও রেজাউল তানভীর ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজীচর এলাকার প্রাণ-আরএফএল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করেন। সামির খান ও নিহাদ ইসলাম ঢাকা থেকে তাঁদের কাছে ঘুরতে এসেছিলেন। ছোটবেলা থেকে এই চারজন রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একসঙ্গে চলাফেরা করেছেন।

বেঁচে ফেরা দুজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চারজন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে যান। ৪টার দিকে তাঁরা নদীর পানিতে গোসল করতে নামেন। তীব্র স্রোতের মধ্যে তাঁরা পরস্পরের দিকে পানি ছুড়ে মারছিলেন। একপর্যায়ে একজন তলিয়ে যাচ্ছেন দেখে আরেকজন হাত বাড়িয়ে দেন। এ সময় দুজনই তলিয়ে যান। অন্য দুজন সাঁতার না জানায় দ্রুত তীরে উঠে স্থানীয় লোকজনকে ঘটনাটি জানান। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নদীতে নেমে তাঁরা নিহাদ ইসলামের লাশ উদ্ধার করেন। রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ আসাদুজ্জামানকে উদ্ধার করা যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে পলাশ থানার উপপরিদর্শক মো. আবু হানিফ বলেন, নিহাদ ইসলামের লাশ পলাশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ আসাদুজ্জামানকে উদ্ধারের জন্য টঙ্গীর ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।