ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী, আ.লীগেরই পাঁচজন
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৬৪ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মেয়র পদে সাতজন প্রার্থীর পক্ষে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম। বাকি ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ করতে এবার দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছেন। অন্যজন হলেন মো. রেজাউল হক নামের এক ব্যক্তি।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান (টজু), মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম ফেরদৌস (জিলু), মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক মেয়র মাহমুদ আল নূরের ছেলে ফারামার্জ আল নূর (রাজি)।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে আজ সকাল থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মেয়র পদপ্রার্থীরা নিজেদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। বেলা পৌনে দুইটার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক। এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মেয়রের ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইকরামুল হক বলেন, ‘ময়মনসিংহ নগরের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি। আবার নির্বাচিত হলে বাকি কাজ সমাপ্ত করব।’
জানুয়ারিতে ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরপরই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নগরে পোস্টার সাঁটাতে শুরু করেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ায় তাঁদের দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হয়নি।
দলীয় প্রতীক না থাকায় খুশি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আজাদ জাহান ওরফে শামীম। তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তেই প্রতীক দেওয়া হয়নি। আমার মনে হয়, এটি ভালোই হয়েছে। এতে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’