গাজীপুরে দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে, তবে যানজট নেই

ঈদ উদ্‌যাপন করতে অনেকেই বাসে করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

ঈদ উদ্‌যাপন করতে শহর ছেড়ে গ্রামে যেতে শুরু করেছেন লোকজন। এতে আজ বুধবার সকাল থেকে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ।

শিল্প–অধ্যুষিত গাজীপুরে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা। এর মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন লাখ লাখ কর্মী। ইতিমধ্যে অনেক কলকারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। যানজট থেকে রেহাই পেতে ঘরমুখী মানুষেরা আগেভাগেই ঈদযাত্রা শুরু করেছেন। তবে বরাবরের মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

রাজধানীর প্রবেশমুখ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রীরা সকাল থেকে ভিড় করছেন। অনেকেই কাঙ্ক্ষিত গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে আছেন। তবে কোথাও কোনো যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে জেলা, মহানগর ও ট্রাফিক বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।

পরিবহনমালিক ও শিল্পকারখানা সূত্র জানা গেছে, অল্প কিছু কারখানায় ছুটি হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পর্যায়ক্রমে শিল্পকারখানাগুলোয় ছুটি হবে। এরপর কিছু কারখানা শুক্রবার এবং বাদবাকি কারখানা ছুটি হবে শনিবার। মূলত বৃহস্পতিবার থেকেই দুই মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বাড়বে। অধিকাংশ কারখানা ছুটি হয় একসঙ্গে। তখন হাজার হাজার ঘরমুখী মানুষ মহাসড়কে নেমে আসবে। ফলে সড়কে যাত্রীর চাপের পাশাপাশি যানবাহনের সংকট ও যানজটের শঙ্কা করছেন পরিবহনসংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত চন্দ্রা ত্রিমোড় গিয়ে দেখা যায়, আগের থেকে যাত্রীর চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের হাতেই একাধিক ব্যাগ, ঈদের শপিং ব্যাগ। কারও কারও মাথায় বস্তা। লম্বা ছুটি পাওয়ায় পরিবার-পরিজনকে অনেকে আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সাধারণ সময়ে পরিবহনের ভাড়ার থেকে কিছুটা বেশি ভাড়া আদায় করতে দেখা যায়। লোকজন দর–কষাকষি করে পছন্দের পরিবহনে উঠছেন।

গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যাচ্ছিন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘ফুড কোম্পানির মার্কেটিং কাজ করি। পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছি। আজ মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি নেই। আশা করছি, আরামে বাড়িতে যেতে পারব।’
পাবনার সাথিয়া এলাকার রিনা খাতুন বলেন, ‘আমার হাজবেন্ডের (স্বামী) ছুটি শুক্রবার থেকে। তখন যানজট হবে। এ জন্য আজ আমি সন্তানদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন বলেন, যানজট প্রতিরোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। আজ কিছুটা যাত্রীর চাপ বেড়েছে। আগামীকাল থেকে যাত্রীর চাপ শুরু হবে।