রাজশাহীতে টানা দুই দিন মৃদু তাপপ্রবাহের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবনে স্বস্তি

বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কমে গেছে, জনজীবনে এসেছে স্বস্তি। আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের চৌদ্দপায় এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে টানা দুই দিন প্রচণ্ড গরমের পর বৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরে। এতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে; স্বস্তি নেমেছে জনজীবনে। বৃষ্টি অল্প হলেও আমের জন্য ভালো হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সহকারী পর্যবেক্ষক আনোয়ারা খাতুন বলেন, দুই দিন ধরে রাজশাহীতে মৃদু তাপপ্রবাহ চলেছে। আজকের বৃষ্টি পরিমাপ করা না গেলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি তাপমাত্রা কমিয়ে স্বস্তি এনেছে। তবে মেঘলা আকাশ কেটে গিয়ে রোদ উঠে যাবে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে গতকাল রোববার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিমাপ করা হয়। এর আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দুপুর ১২টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল।

দুই দিনের অব্যাহত এই তাপমাত্রায় জনজীবনে অস্বস্তি এনে দিয়েছিল। আজকের বৃষ্টি সেই অস্বস্তি কিছুটা দূর করেছে। নগরের চৌদ্দপায় এলাকায় বৃষ্টি দেখে রিকশার মাথায় পলিথিন বাঁধছিলেন রায়হান আলী। তিনি বলেন, রিকশার এই অংশ যেন না ভিজে, তাই পলিথিন বেঁধে দিচ্ছেন। একই এলাকায় কয়েকজনকে ছাতা নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।

নগরের কুমারপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, ‘গত দুই দিন কী পরিমাণ যে গরম ছিল। আজ বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়তো। এই বৃষ্টি দুর্ভোগের নয়, স্বস্তির।’

এদিকে এই বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট, গাছপালার ধুলাবালু ধুয়েমুছে গেছে। রাজশাহীতে আমের জন্য এই সামান্য বৃষ্টি ভালো লক্ষণ বলেও জানিয়েছেন কৃষকেরা। রাজশাহীর পুঠিয়ার মাহবুব আলম প্রায় ১০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন। এখন তাঁর বাগানে আমের মুকুল থেকে গুটি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আজ সকালের বৃষ্টিতে আমের পাতায় ও আমের গুটিতে থাকা ধুলাবালু ধুয়ে গেছে। এই বৃষ্টি আমের জন্য ভালো। আম ঝরা কমবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, আজকের বৃষ্টি আমের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। এতে আমের গুটির বোঁটা শক্ত হবে। আম ঝরা কমে যাবে। এই মুহূর্তে এই বৃষ্টি দরকার ছিল।