অবশেষে বদলি হলেন সদরপুরের ইউএনও

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। তিনি গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেবেন। জেলা প্রশাসনের এক অফিস আদেশের চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে আল মামুনকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদরপুর, ফরিদপুরকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্ত ১১–১২–২০২৪ তারিখ অপরাহ্নে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত করা হলো। তিনি তাঁর দায়িত্ব সদরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিনের নিকট হস্তান্তর করবেন।’  

এ বিষয়ে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সদরপুরের ইউএনওর পদ থেকে অবমুক্ত করা সংক্রান্ত আদেশ বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে পেয়েছি। চিঠিটি গত বুধবারের তারিখে স্বাক্ষর করা ছিল। আজ রাতে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দেব।’  

গত বুধবার আল মামুনের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগ তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ওই দিন দুপুরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ ওঠার পর ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান।

আরও পড়ুন

যদিও আল মামুন ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি পরে জানিয়েছিলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর সদরপুর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওখানে ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাও উপস্থিত ছিলন। তাঁরা সবাই জানেন আমি এ–জাতীয় কোনো কথা বলিনি। কেন ওই ছাত্রনেতা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান) আমার বিরুদ্ধে এ–জাতীয় অভিযোগ করেছেন, তা আমার বোধগম্য নয়।’

আরও পড়ুন

এদিকে, আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাঁকে কর্মস্থলে পুনবর্হালের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে বুধবার রাতে সদরপুর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা ইউএনও আল মামুনকে প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও মৌখিক প্রত্যাহারের আদেশ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ঘটনা যাচাই করেন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তাঁরা।