পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল

ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সকালেছবি: প্রথম আলো

ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরিবেশ ফোরামের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার–সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন তাঁরা। পরে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক–সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘বন্যায় যদি মানুষ মরে, সেভেন সিস্টার থাকবে নারে’; ‘আবরার তোমায় মনে পড়ে, বন্যায় যখন মানুষ মরে’; ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের শিল্প, কৃষি, মৎস্য ও অন্যান্য খাত চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে প্রত্যক্ষভাবে দেশের ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি আমাদের নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে; যার ফলে নৌ পরিবহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বাংলাদেশের যে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে তারও অন্যতম কারণ নাব্যতা। নদীতে মৎস্যসহ অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও পলির অভাবে কৃষিকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘তারা (ভারত) আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল; কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। ভারত ফারাক্কা বাঁধ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। এ ছাড়া অন্যান্য বাঁধ আছে, যেগুলো দিয়ে ভারত পানি প্রত্যাহার করছে। কিন্তু আপনারা যদি দেখেন ভারতের বসানো সরকার (ক্ষমতায়) থাকা অবস্থায় কখনোই তারা বাঁধ খুলে দেয়নি। যখনই তাদের (সমর্থনপুষ্ট) সরকার পালিয়েছে, তখনই তারা নানা ধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, যেন সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সভায় পানি আগ্রাসনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং আন্তর্জাতিক নদী আইন তুলে ধরা হয়।’