মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মৌলভীবাজার জেলার মানচিত্র

মৌলভীবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ জনকে। মামলার আসামি সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আবদুল কাদির তালুকদার (২৫) বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৪ আগস্ট শহরের চৌমোহনা এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে (বুধবার) মামলা হয়েছে। এজাহারে ১৫৫ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কোনো গ্রেপ্তার নেই।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাধাপদ দেব সজল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর সৈয়দ সেলিম হক, রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকারিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, ভাইস চেয়ারম্যান রাজু দেব রিটন, জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহিম দে মধু প্রমুখ।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৪ আগস্ট দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের চৌমোহনায় পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে দেশি অস্ত্রসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় গুলিবর্ষণও করা হয়েছে। দেশি অস্ত্র ও গুলিতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ বক্স, মোটরসাইকেল পোড়ানোসহ রাষ্ট্রের লাখ লাখ টাকার সম্পদ ভাঙচুর ও লুটপাট করে ক্ষতিসাধন করা হয়। পুলিশকেও দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়। আহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মামলার বাদী আবদুল কাদির তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ৪ আগস্ট অতর্কিত হামলা করে শিক্ষার্থীদের আহত করার ঘটনায় মামলা করেছেন। হামলাকারী সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ছিলেন।