কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মার পাড়ে পড়ে থাকা গাড়ি থেকে উদ্ধার সম্রাট (২৬) নামের যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কুমারখালী থানার পুলিশ। সম্রাটের পরিবারের দাবি, এক নারীর কাছে ৫০ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সম্রাট পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানার পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে।
সম্রাটের লাশের সুরতহাল করেন কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর দাস। তিনি লাশ হস্তান্তরের পর প্রথম আলোকে বলেন, মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে তিনটি আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ আঘাতের কারণে সম্রাটের মৃত্যু হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিহত সম্রাট খানের মামা শামসুল হক। তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁর ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে। ঈশ্বরদীতে এক নারীর কাছে তাঁর ভাগনে ৫০ হাজার টাকা পেতেন। ওই টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সকালে কুমারখালীর চরসাদিপুরে পদ্মার পাড়ে পড়ে থাকা একটি দামি গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভেতর থেকে এক যুবকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, লাশটি সম্রাটের।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, গত বুধবার থেকে খেয়াঘাট এলাকায় গাড়িটি পড়ে ছিল। তাঁরা প্রথমে মনে করেছেন, গাড়ি রেখে পদ্মা পার হয়ে কেউ কাজে গেছেন। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
কুমারখালী উপজেলা থেকে চরসাদিপুর ইউনিয়নকে পদ্মা নদী বিভক্ত করেছে। ইউনিয়নটি পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলাসংলগ্ন।