সাভারে সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ১১৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা এবং এক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার-আশুলিয়া) সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদসহ আওয়ামী লীগের ১১৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, মো. সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু (৩৭) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। তিনি নিজেকে ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে নিহত শিক্ষার্থী আস-সাবুরের (১৬) প্রতিবেশী চাচাতো ভাই বলে দাবি করেছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার মো. সাহিদ হাসান থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা এনাফ নায়েদের ছেলে আস-সাবুর স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সে বাসা থেকে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইপাইল এলাকায় যায়। বেলা দুইটার দিকে সাহিদ হাসান জানতে পারেন আস-সাবুর বাইপাইল মোড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখমসহ আস-সাবুরকে মৃত অবস্থায় পান।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, খোঁজখবর নিয়ে সাহিদ হাসান জানতে পারেন যে ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক থেকে দেড় হাজার লোক বাইপাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার-আশুলিয়া) সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম (৫৫), তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ (৫৫), আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন (৫৪), পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. পারভেজ দেওয়ান (৬১), আশুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাদবর (৫৮), ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূঁইয়া (৫০), আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. কবির সরকারসহ (৫২) ১১৯ জন ও অজ্ঞাতনামা অনেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর ও গুলি ছোড়ে। তাঁদের পিটুনি ও ছোড়া গুলিতে আস-সাবুর নিহত হয়।