গাজীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
গাজীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজি ও নানা অজুহাতে হাইওয়ে পুলিশের মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন চালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কের নলজানি এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
পুলিশের আশ্বাসে আজ দুপুর ১২টার দিকে সড়ক ছেড়ে যান তাঁরা। অবরোধ চলাকালে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অটোরিকশার চালকদের দাবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লার নেতৃত্বে কয়েক মাস ধরে গাজীপুর–চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রতিটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এ টাকা দিতে না চাইলে চালকদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি তাঁদের কাছ থেকে জোর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে নানাভাবে হয়রানি ও মারধর করা হয়। এ ছাড়া গাজীপুর হাইওয়ে সড়কগুলোয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে গেলে বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।
চালকদের অভিযোগ, মহাসড়কে চষে বেড়াচ্ছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র সঠিক থাকলেও পুলিশ যখন-তখন চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। তাই তাঁরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এবং পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজি করার সময় দুই চাঁদাবাজকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন চালকেরা। তাঁরা হলেন এহসানুল হক (২৫) ও সাদ্দাম হোসেন (৩২)।
এ বিষয়ে হালিম মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ধরেননি। মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন, ‘আমরাও শুনেছি তিনি লোকজন দিয়ে চাঁদাবাজি করেন। কিন্তু আমরা যখন মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিতে যাই, তখন কোনো অভিযোগ পাই না। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। চাঁদাবাজি যে–ই করুক, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমদ জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।