পাবনায় মাদকবিরোধী অভিযানে হামলায় পুলিশসহ ছয়জন আহত, আটক ৩

আটকপ্রতীকী ছবি

পাবনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে জেলা শহরের রাধানগর সিংগা প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পাবনা পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম মোস্তফা। বাকি চারজন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পাবনা জেলা কার্যালয়ের কর্মী। তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের রাধানগর সিংগা প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। এ সময় ওয়ার্ড কমিশনার আসাদুজ্জামানের লোকজন তাঁদের আটক করেন। খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল তাঁদের উদ্ধারে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পাবনা কার্যালয়ের উপপরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, ওই এলাকায় মাদকের কারবারের খবর পেয়ে তাঁরা অভিযান চালাতে যান। অভিযানে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তাঁরা তিনজনকে আটক করেন। খবর পেয়ে কমিশনারের লোকজন এসে তাঁদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাঁদের আটকে রাখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে কমিশনারের লোকজন পুলিশের ওপরও চড়াও হন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটির সূত্রপাত। অভিযানের সময় স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামানসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।