কুষ্টিয়ায় ধারালো অস্ত্রের কোপে এক ব্যক্তির কবজি বিচ্ছিন্ন

উন্নত চিকিৎসার জন্য কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্যক্তিকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালেছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ায় ধারালো অস্ত্রের কোপে এক ব্যক্তির কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ঢাকা ঝালুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্যক্তির নাম বাবুল আক্তার আনিস (৫০)। তিনি একই এলাকার আসালত ফকিরের ছেলে।

বাবুল আক্তারের প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা কয়েকজন মিলে এলাকায় ‘সবুজ শান্তি’ নামের একটি সমিতি করেছিলেন। সমিতির তহবিলে ৭১ হাজার টাকা জমা ছিল, এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে নজরুল ক্ষুব্ধ হয়ে বাবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকায় সমিতির টাকা লেনদেন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলামের সঙ্গে বাবুল আক্তারের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামের একটি চায়ের দোকানে দুই পক্ষ বসে আলোচনা করছিল। আলোচনার একপর্যায়ে নজরুলের সঙ্গে বাবুলের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবুলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। বাবুল বাঁ হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের কবজি কেটে মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এর মধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন নজরুল ও তাঁর লোকজন।

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কবজি কাটা অবস্থায় বাবুল হাসপাতালে আসেন। কাটা অংশ তাঁর সঙ্গে ছিল না। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাঁর পিঠেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। তাঁর বড় অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অবস্ ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।