ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না, মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেন: রুমিন ফারহানা
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘ভোটের কোনো নিশানা কিন্তু দেখি না। সাবধান করে দিই। এ দেশের মানুষ ভোটের জন্য বারবার আন্দোলন করেছে। বারবার রক্ত দিয়েছে। মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেন। মানুষ যাকে খুশি, তাঁকেই বেছে নেবে। এই দেশ চলবে মানুষের রায়ে।’
আজ রোববার শেষ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে আয়োজিত এক সভায় রুমিন ফারহানা এ কথাগুলো বলেন। রুমিন ফারহানার বাবা ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সভায় সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ক্ষমতায় যাবে সেই জন, যেই জনকে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নেবে। বিনা ভোটের সরকার বাংলাদেশে আমরা আর কোনো দিন আসতে দেব না।’
আওয়ামী লীগ সরকার বারবার ক্ষমতায় এসে মানুষকে অত্যাচার করেছে অভিযোগ করে রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল। একটা বাড়িতেও কান্না হয়নি। একটা মানুষও আফসোস করেনি। এত বছর পরে আবার ৫ আগস্ট একই ঘটনা ঘটেছে। হাসিনা একদিকে পালিয়েছে। আর মানুষের ঘরে খুশি আর খুশি, মুক্তি আর মুক্তি, আনন্দ আর আনন্দ। আওয়ামী লীগকে আর টোকাইয়া কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় না।’
শাহবাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমান মুন্সির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অলি আহাদের গড়া ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব আলী আজম, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মমিন হোসেন।