‘অসহায়’ দাবি করে অন্যের বাড়িতে আশ্রয়, পরে চার শিশুকে নিয়ে পালাচ্ছিলেন নারী
নিজেকে অসহায় দাবি করে থাকার জায়গা চান এক নারী। আশ্রয়ও মেলে এক বাড়িতে। ওই বাড়িতে রাত যাপন করে পরের দিন ইফতারের পরে চার শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রেলস্টেশনে ঘটে বিপত্তি। স্থানীয় ব্যক্তিদের সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানো হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চার শিশুকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারী নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে। অপহরণ মামলায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অভিযুক্ত ওই নারীর নাম আদুরী বেগম। তিনি রংপুর নগরের বাবুপাড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ফকিরচর গ্রামে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে লিটন নামের এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তপোধন গ্রামে গিয়ে নিজেকে অসহায় দাবি করে থাকার জায়গা চান আদুরী বেগম। পরে আশিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় একজন আদুরীকে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দেন। ওই বাড়িতে রাত যাপন করে পরের দিন ইফতারের পরে চার শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর বাচ্চাদের না পেয়ে এলাকায় হইচই পড়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়। রাতে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে ওই নারীকে চারটি শিশুকে নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্টেশনে থাকা লোকজনের সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে শিশুদের উদ্ধার করে মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো আরিফুল ইসলামের মেয়ে আঁখি মনি (৮), মমিনুর ইসলামের মেয়ে মিনু (১২), মমিনুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল (৪) ও মকবুল হোসেনের ছেলে রিফাত (৬)।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে অপহৃত এক শিশুর বাবা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে নগরীর হারাগাছ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আদুরী বেগমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, অপহরণের শিকার শিশুদের উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।