মুক্তি মিলল অপহৃত ২৬ রবারবাগানের শ্রমিকের

মুক্তি পাওয়া দুজন শ্রমিক। কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় হাসপাতালে। আজ সকালে তোলাছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী থেকে অপহরণ হওয়া রবারবাগানের ২৬ জন শ্রমিক মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাকের হোসেন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য এসব শ্রমিককে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। মুক্তি পাওয়া ২৬ শ্রমিকের মধ্যে ১৫ জনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত রোববার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মুরুংঝিরি এলাকার রবারবাগান থেকে এসব শ্রমিককে অপহরণ করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। অপহরণের পর শ্রমিকদের প্রত্যেকের মুক্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন অপহরণকারীরা।

মুরুংঝিরি এলাকার একটি রবারবাগানের মালিক মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, রাতে অপহরণকারীরা ওই শ্রমিকদের ছেড়ে দিলে তাঁরা কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় বাজারে চলে আসেন। এরপর তাঁদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও বলেন, অপহরণের পর থেকে যৌথ বাহিনী শ্রমিকদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এ ছাড়া অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দুটি কারণেই অপহরণকারীরা শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে পারে।

মুক্তিপণের বিষয়ে জানতে চাইলে ফাঁসিয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ‘নিশ্চয় টাকা লেনদেন হয়েছে। তবে যৌথ বাহিনীর অভিযানের ভয় ছিল সন্ত্রাসীদের।’

নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। মুক্তি পাওয়া শ্রমিকদের কাছ থেকে অপহরণের বিষয়ে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান এখনো চলমান।